সব গোশত দিয়ে সব ধরনের আইটেম তৈরি করা যায় না। তাই রান্নার আগে তাকে ওই গোশত সম্পর্কে সচেতন হয়ে রান্না শুরু করতে হবে। এবার জেনে নিন কোন অংশের গোশত দিয়ে কি কি তৈরি করা যাবে।
রানের গোশতঃ কোরমা, টিকিয়া, বিফ বার্গার, কোপতা, বিরিয়ানি ইত্যাদি তৈরি করা যাবে।
পেটের দু’পাশের গোশতঃ শিক কাবাব, হাঁড়ি কাবাব, কিমা, কোপ্তা, শামি কাবাব তৈরি করা যায়।
হাঁটু থেকে পায়ের অংশ পর্যন্তঃ স্যুপ ও কারির জন্যে ভালো।
সিনার গোশতঃ তেহারি, কারি, রোস্ট ও কোমরের গোশত দিয় রোস্ট, কোরমা, বিরিয়ানি তৈরি করা যাবে।
গোশত তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হতে পেঁপে দিতে পারেন অথবা তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন সামান্য চিনি।
গোশতের টেস্ট গোশত কষানোর ওপর নির্ভর করে। গোশত কষানোর পর পানি দিয়ে ফুটিয়ে ঢেকে আঁচ মধ্যম করে দিন। আস্তে আস্তে গোশত সিদ্ধ হয়ে আসবে।
গোশত রান্নার সময় ঢেকে রান্না করবেন এতে খাবারের মান ভালো থাকে। এছাড়া গোশতও তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে যায়।
গোশত বুঝে আলু দেবেন। দেশী মুরগি, গরু ও খাসির গোশত যদি ফার্মের হয় তবে একসঙ্গে দিয়েই কষাতে পারবেন। এতে কোন অসুবিধা হবে না।
ফার্মের মুরগির গোশত খুব নরম তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে যায়। কয়েকবার গরম করা হলে একেবারেই খুলে যায়। তাই এর থেকে রক্ষা পেতে চাইলে রান্নার আগে একটু লবণ ও হলুদ মিশিয়ে তেলে হালকা করে ভেজে নেবেন। তাহলে আর গোশতের আঁশ খুলে যাবে না।
———————
লেখকঃ শারমিন আহমেদ
দৈনিক যুগান্তর, ১৮ ডিসেম্বর ২০০৭
minto
good