কোরবানির ঈদে মাংসের সরবরাহ থাকে প্রচুর। তৈরি করা যায় বিভিন্ন স্বাদের ও বিভিন্ন ঢঙের মাংসের আইটেম। মাংস প্রাণিজ প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। কাজেই সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে কোরবানির ঈদের পর্যাপ্ত মাংস দিয়ে কাটিয়ে দেওয়া যাবে নির্দ্বিধায় দুই মাস।
ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টারের পুষ্টিবিজ্ঞানী সৈয়দা শারমিন আখতার মাংস সংরক্ষণের বিষয়ে বলেন, সংরক্ষণের সময় সর্বপ্রথম মনে রাখতে হবে ঠিকমতো তা প্যাকিং হয়েছে কি না। হাড়সহ মাংস, হাড় ছাড়া মাংস, চর্বিসহ মাংস, চর্বি ছাড়া মাংস-এই প্রতিটি প্যাক হবে আলাদা। এরপর এই পলিথিনের প্যাকেটগুলো ডিপ ফ্রিজে (শূন্যের নিচে তাপমাত্রায়) রাখতে হবে। মাংস সংরক্ষণের আরও একটি পদ্ধতি হলো হালকা লবণ ও হলুদ দিয়ে মাংসগুলোকে তাপ দিলে তা অনেক দিন সাধারণ তাপমাত্রায়ই রাখা যায়। আবার ভিনেগার দিয়েও মাংস সংরক্ষণ করা যায়। কোনো টিন বা বোতলে ভিনেগারে মাংস সম্পূর্ণভাবে ডুবিয়ে রাখলে মাংস ভালো থাকে অনেক দিন। আর ভিনেগার যদি না পাওয়া যায়, তাহলে তার বদলে লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে। মাংসের টুকরোগুলোকে লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে ক্যানড করলে মাংস ভালো থাকে অনেক দিন। ভিনেগার বা লেবুর রস ব্যবহার করলে মাংস সংরক্ষণের পাত্রটি ডিপ ফ্রিজে না রেখে রেফ্রিজারেটরে সাধারণ তাপমাত্রায় রাখতে হবে। মাংস সংরক্ষণের সবচেয়ে আদি পদ্ধতি হলো মাংস রোদে শুকিয়ে নেওয়া। হালকা লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে রোদে ভালোভাবে শুকালে এই মাংস ভালো থাকে অনেক দিন। তবে শুকানোর পর অবশ্যই মাংসগুলো টিনে ভালো করে এঁটে রাখতে হবে, নয়তো পোকামাকড়ের আক্রমণে তার আবার পুষ্টি অপচয় হবে।
————————-
লেখকঃ সাদিয়া আহমেদ
নকশা, দৈনিক প্রথম আলো, ১৮ ডিসেম্বর ২০০৭
Leave a Reply