বাবর আলী পার্টটাইমের সাংবাদিক, নিজে তাই পরিচয় দেন কলামিস্ট, আসলে মতামত পাতায় চিঠি লেখেন, ফুলটাইম চাকরিজীবী, সরকারি অফিসের ছাপোষা কেরানি। সমাজের যেকোনো বিষয় নিয়েই তিনি মতামত পাতায় তাঁর কড়া মন্তব্য মাঝেমধ্যে ছাপা হয়। এসএসসি পরীক্ষার গ্রেডিং সিস্টেম একমুখী, বহুমুখী শিক্ষা থেকে শুরু করে প্রবাসীদের সমস্যা নিয়েও তিনি লেখেন। যদিও তাঁর বিবাহযোগ্য মেয়ে এসএসসি পাস করেছে গ্রেডিং ও একমুখী শিক্ষার আগে এবং তাঁর কোনো আত্মীয়স্বজন কেউ প্রবাসে থাকেন না। নিকট অতীতেও থাকার সম্ভাবনা নেই। সম্প্রতি তিনি পতিতাদের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে মর্মস্পর্শী একটা লেখা লিখেছেন। কিন্তু স্ত্রীর ভয়ে কন্যার লজ্জায় সেটা ছাপতে দিতে সাহস করে উঠছেন না। মেয়েটা আবার বাবার লেখাগুলো সংগ্রহ করে রাখতে খুব ভালোবাসে।
তাঁর বাড়িওয়ালা প্রায় দেখা হলে বলেন, ‘আরে ভাই, আপনি এত বড় সাংবাদিক। দেশের বড় বড় সমস্যার কথা লেখেন। সমাধান হয়। আমাদের সমস্যার কথা লেখেন না কেন? পানি নাই, গ্যাস নাই, বিদ্যুত্ নাই। আছে শুধু মশা। এটা নিয়েই কড়া করে একটা লেখা দিয়ে দেন না। দেখবেন, সরকারের টনক নড়ে একেবারে মাথার থেকে বেরিয়ে আসবে।’ বাড়িওয়ালা কি এটা প্রশংসা করে বলেন নাকি বিদ্রূপ করেন, তিনি ঠিক ধরতে পারেন না।
বাবর আলী মিরপুর এক নম্বরের সনি সিনেমা হলের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। মনপুরা নামের ছবি চলছে। ভালোই চলছে মনে হয়। বেশ ভিড়। পরপর তিনটি লোকাল নয় নম্বর বাসের গেটে চার-পাঁচজনকে বাদুরঝোলা ঝুলতে দেখে বুঝতে পারলেন, এর ভেতরে ওঠা তাঁর কম্মো নয়। দশ নম্বর যেতে রিকশায় দশ টাকা লাগে। বাসে দুই টাকা। এই দুর্মূল্যের বাজারে নিজের আরামের জন্য পাঁচ গুণ টাকা বেশি খরচ করার অর্থ হয় না। বাবর আলী অধৈর্য হয়ে উঠলেন। গোলচক্কর মসজিদের ইমাম সাহেবকে এশার নামাজের আগেই ধরতে হবে। একবার মসজিদে চলে গেলে কখন ফিরবেন তার ঠিক নেই।
দেখা করাটা জরুরি। ইমাম সাহেবের সন্ধানে একটা সুপাত্র আছে। বিবাহযুগ্যি মেয়েকে সুপাত্রস্থ করতে না পারলে বাবা-মায়ের জীবনের চাপ বাড়তে থাকে। মেয়েটা শ্যামলা আর হালকা-পাতলা হয়েই হয়েছে সমস্যা। বদের বদ ছেলেগুলো বিয়ের সময় দেখে রং আর স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্যবতী হলে রঙের ক্ষেত্রে একটু ছাড় পায়। গরিবের শ্যামলা মেয়েগুলোর প্রেমিক জোটে, বিয়ের পাত্র জোটে না। আর যৌতুক তো আছেই। শহরের কালচার উপঢৌকন। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল উপঢৌকন। বাসার জন্য প্লাজমা বিশাল স্ক্রিনের এলসিডি টিভি, হোম থিয়েটার, ছেলের জন্য ল্যাপটপ।
চার নম্বর বাসটাও ছেড়ে দিলেন। এটার অবস্থা আরও খারাপ। পর পর মনে হয় বাসে ভিড় বাড়ছে। কাজ-ফেরতা ক্লান্ত মানুষগুলো ঘরে ফিরছে। বাসের আশা বাদ দিয়ে রিকশা নেবেন কি না চিন্তা করে পেছনের রিকশাগুলোর দিকে তাকালেন। রিকশাওয়ালারা রিকশার সিটে বসে হলের গেটের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছে। শো ভাঙলে রিকশা ছাড়া উপায় থাকবে না। বেশি দাম হাঁকা যাবে। কয়েক জন রিকশাওয়ালা দুটো সোমত্ত মেয়ের সঙ্গে রসিয়ে রসিয়ে কী যেন আলাপ করছে। তাঁর বুক ধক করে উঠল। মেয়েগুলোর ঠোঁটের সস্তা রং ও পোশাকের বহরেই তাদের পরিচয় বলে দিচ্ছে। এরা সিনেমা হলের মেয়ে। হলের ছবি দেখতে আসা অসভ্য অতৃপ্ত পুরুষদের এরা ছবি দেখার অন্ধকারে শারীরিক সঙ্গ দেয়। বিনিময়ে পেট চালানোর মতো কিছু পয়সা হয়তো উঠে আসে। এই দুটি মেয়ে হয়তো এই শোতে খদ্দের পায়নি। অপেক্ষা করছে রাতের শেষ শোয়ের জন্য। এই হতভাগা মেয়েদের নিয়ে পত্রিকায় একটা কিছু লেখা দরকার ভেবে সাবজেক্টকে ভালোভাবে দেখার জন্য মেয়েদের দিকে এগিয়ে যান। বয়স্ক একটা খদ্দের ভেবে দুই মেয়েই রিকশাওয়ালা ছেড়ে তাঁর দিকে মুখে আহ্বানের হাসি রেখে এগিয়ে আসে। তিনি চমকে ওঠেন। আর তখনই একটা বাস দাঁড়ায়। মনে হয় গুঁতোগুঁতি করে ওঠা যাবে।
তিনি দৌড়ে বাসে উঠে বুঝতে পারেন বাসটা তিনি ওঠায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আর একজন যাত্রীও বাসে উঠলে বাসটা ফেটে চৌচির হয়ে যাবে। খানখান হয়ে যাবে। গায়ে গা সেঁটে গরমে ঘামে মানুষ মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে। পারলৌকিক বাস ছুটে চলছে নরকের পানে।
বাসটা গজ বিশেক যেতেই তাঁর পাশ থেকে একটা আওয়াজ ওঠে ‘পকেটমার। শালা পকেটমার। মোবাইল নিয়েছে কুত্তার বাচ্চা। ধরছি শালারে।’ পকেটমার শব্দটা শুনলে বাসের যাত্রীদের প্রথমেই নিজেদের পকেটের কথা মনে হয়। বাবর আলী প্যান্টের পেছন পকেটে হাত দিলেন। মানিব্যাগ ঠিক জায়গামতোই আছে। আর মোবাইল ব্যবহারের সামর্থ্য তাঁর নেই। বাসায় একটাই মোবাইল। মা-মেয়ে ব্যবহার করে। ওটা ল্যান্ডফোনের কাজ করে।
মানুষের একটা ঢেউ তাঁর গায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। সেই ঢেউয়ে স্রোতের মতো তিনি পিছিয়ে পড়েন। যেখানে তিল ধারণের জায়গা ছিল না, সেখানে বাসের মাঝখানে বেশ বড়সড় ফাঁকা হয়ে যায়। বাঙলা কলেজ থেকে ওঠা কয়েকটা ছাত্র, যারা এখনো ভাড়া দেয়নি, পকেটমার ধরার সুবাদে ভাড়া দেওয়ার চিন্তা বাদ দিয়েছে, তারা কাজ শুরু করে। ‘বাবাগো, মাগো’ কাতর ধ্বনির মাঝে মুষ্টিযুদ্ধের আওয়াজ ভেসে আসে। ছাত্রদের সঙ্গে সঙ্গে বাসের বেশ কিছু ষণ্ডামার্কা যাত্রী, বিভিন্ন কারণে যাদের মন বিক্ষিপ্ত হয়েছিল। কারোর ব্যবসায় লস-বিশ্বমন্দা, কারোর ঊর্ধ্বতনের ওপর রাগ, কারও চাকরি যায় যায় অবস্থা, কেউ বেকার, কারোর প্রেমিকা ছুটে গেছে, কারও আগে একবার পকেটমার হয়েছিল, সবাই অগ্নিগিরির লাভার মতো রাগের উদিগরণ ঘটাতে থাকে। সেই গলিত লাভা বজ্রমুষ্টি হয়ে পকেটমারের নাক-মুখ-চোয়াল-পিট-বুক-পেটের ওপর উল্কাপিণ্ডের ন্যায় ঝরতে থাকে। বাবা-মায় কাজ হবে না বুঝে পকেটমার সর্বশক্তিমানকে ডাকতে থাকে। ‘আল্লাগো আমারে মাইরে ফেলল গো…।’ বাক্য সম্পূর্ণ করার আগেই দমকা বাতাসের মতো, শিলাবৃষ্টির মতো আরেক দফা কিলঘুষির বৃষ্টি বাইশ-তেইশ বছরের না-খাওয়া মাদকাসক্ত শরীরে ঝরে পড়ে। ঠোঁটের কোণ বেয়ে রক্তের কষ পড়তে থাকে। থেঁতলে গেছে নাকের বারান্দা। আলু উঠেছে কপালে। চোখ ঢেকে ফেলেছে।
বাবর আলী অবাক হয়ে দেখেন ছেলেটার চেহারা ঠিক পকেটমারের মতোই। তখনই তাঁর মনে হয়, ছেলেটা পকেটমার হিসেবে ধরা পড়েছে বলে পকেটমারের মতো চেহারা লাগছে। সেও পকেটমার হিসেবে ধরা পড়লে বাকি বাসযাত্রীদের কাছে তাকে পকেটমারের মতোই লাগত। আচ্ছা ছেলেটা কি সত্যিই পকেটমার। নাকি ছাত্ররা কোনো প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে। তাঁর বুক দ্বিতীয়বারের মতো ধক করে উঠল। সিনেমা হল মেয়েদের দেখার মতো। এখানেও পেট। পেটের জ্বালায় কেউ সিনেমা হলের সামনে সেজেগুজে দাঁড়িয়ে থাকে। কেউ পকেটমার হয়। তাঁর মেয়েটার মাথার ওপর তিনি আছেন বলে সিনেমা হলের সামনে সেজে দাঁড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলছে না। তাঁর ছেলেটার মাথার ওপর তিনি আছেন বলে টিউশনিতে গিয়ে হাতখরচ তুলছে। এই মেয়েদের মাথার ওপর কেউ নেই। এই পকেটমার ছেলেটার মাথার ওপর কেউ নেই। সরকারের কি থাকার কথা ছিল না? দুর্নীতিতে কত কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। তাই দিয়ে কি এই পকেটমার, এই মেয়েদের কর্মসংস্থান করা যায় না? এই ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা নিয়ে পত্রিকার পাতায় একটা কড়া মতামত দিতে হবে।
পকেটমার ছেলেটা হঠাত্ ওপাশের এক ধাক্কায় বাবর আলীর গায়ের ওপর এসে পড়ল। ছেলেটার মুখের রক্তের কষ-লালা লেগে গেল তাঁর জামায়। গা ঘিনঘিন করে উঠল। তখনই দ্বিতীয় দফা মার শুরু হলো। হাতের কাজ শেষ। এখন পায়ের কাজ। মাঝখানে মানুষ ফুটবল রেখে কার্লোস, মেসি, রোনালদো ফ্রি-কিক লংশট পেনাল্টি-কিক হাঁকাতে থাকে। মারের ভেতরেও একজনকে আরেকজনের ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। পকেটমার নিঃসাড় হয়ে পড়ে আছে। পেছন থেকে একজন বলল, ‘ব্যাটায় ভং ধরেছে। এই সামান্য মাইরে হারামখোরগোর কিছু হয় না।’ পরিস্থিতি ভয়াবহ দেখে ড্রাইভার গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড় করাল। পেছন ফিরে মারপিটে ব্যস্ত যাত্রীদের বলল, ‘ওরে, গাড়ির ভেতরে মাইরে ফেইলেন না। পুলিশি ঝামেলায় পড়তে হইব। ব্যাটা মরলে আজ আর গাড়ি যাইত না।’
সবারই যাওয়াটা জরুরি। যাওয়া যাতে বন্ধ না-হয়, ব্যাটা যাতে না মরে—এ জন্য যাত্রীরা মার বন্ধ রাখল। পকেটমারের দিকে তাকিয়ে বাবর আলীর বুকের ভেতরটা কষ্টে দুমড়ে-মুচড়ে যেতে থাকে। ড্রাইভার আবার সাউন্ড দেয়, ‘আপনারা ওরে নিয়া থানায় যান। সামনেই মিরপুর থানা। আপনারা কয়েকজন নাইমা যান।’
কন্ডাক্টরও গেটের কাছে দাঁড়িয়ে গলা মিলায়, ‘অনেক মারছেন, ওরে গাড়িরতে বিদায় করেন।’
এপাশ থেকে ভাড়া না দেওয়া এক ছাত্র কন্ডাক্টরকে ধমকে ওঠে, ‘চুপ থাক, ব্যাটা, পকেটমারের দালাল। এই হালারা পুলিশের মতন। সব চেনে। পকেটমারের সঙ্গে এদের শাট আছে।’
কন্ডাক্টর খেপে যায়, ‘কী কইলেন? কী কইলেন আপনি?’ কন্ডাক্টরও এখন মার খাবে বুঝতে পেরে ড্রাইভার কন্ডাক্টরকে ধমক দেয়, ‘তুই চুপ থাক, মাদু। হেগো লাইগা কাইজায় যাস না। ভালো হবে না।’
মহিলা সিটে বসা সেঁটে থাকা যাত্রীরাও বলে, ‘হয় ছেড়ে দেন, না-হয় পুলিশে নিয়ে যান।’
কিন্তু কে কার গোয়ালে ধোঁয়া দেয়। সবারই যাওয়ার তাড়া আছে। আর থানায় নিয়ে কি নিজেরা ফ্যাসাদে পড়বে নাকি। মার যথেষ্ট হয়েছে বলে ওরা পকেটমারের ছিঁড়ে ন্যাতান্যাতা করে দেওয়া জামা ধরে টেনে তোলে। তারপর গেট দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।
আর কি আশ্চর্যের ব্যাপার! সবার চোখের সামনে দিয়ে মরার মতো পড়ে থাকা পকেটমার সেরা দৌড়বিদের মতো দৌড়ে অন্ধকার গলির ভেতর মিলিয়ে যায়। গেটের কাছে দাঁড়ানো এক যাত্রী বলল, ‘দেখলেন ভাই, হারামজাদাগো জান কেমন শক্ত। এত মাইরেও কিচ্ছু হয়নি।’
ড্রাইভার গাড়ি ছেড়ে দিল। মোবাইলওয়ালা যাত্রী হাতেনাতে পকেটমার ধরা ছাত্রের হাত ধরে বলল, ‘ভাই, আপনারে যে কী বলে ধন্যবাদ দেব। আপনি ছিলেন বলেই আজ আমার মোবাইলটা রক্ষা পেল। আগেও একবার…।’
পেছন থেকে কে যেন সাউন্ড দেয়, ‘ধন্যবাদ দিতে হবে না। মিষ্টি খাইয়ে দেন।’ ছাত্রগুলো একসঙ্গে বলে ওঠে, ‘মিষ্টি খাওয়াতে হবে না। শালার ব্যাটারে মেরে যে মজা পেয়েছে, এক কেজি মিষ্টি খেলেও সে মজা পাওয়া যেত না। মাইরের ওপর আরাম নাই।’
যাত্রীরা রসিক ছাত্রের কথায় হেসে ওঠে। বাসজুড়ে পকেটমারের গল্প শুরু হয়। যাত্রীরা নির্দিষ্ট সাবজেক্ট পেয়ে যে যার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে থাকে। একজন বলল, ‘এখন শালার বানচোতগুলো আর মানিব্যাগ পকেট মারে না। ম্যানিবাগে আর এখন মাইনষের টাকা নাই। একটা মোবাইল মারতে পারলে ওদের এক সপ্তাহের কামাই উঠে যায়। নিশ্চিত লাভ।’
সবাই তার কথায় সায় দেয়। বাবর আলীর এদের কথা কানে ঢোকে না। শুধু পকেটমারের রক্তাক্ত মুখ ভেসে ওঠে। যে রক্ত তাঁর বুকের কাছেও কিছুটা লেগে আছে।
পকেটমারের ঝামেলায় ভাড়ার দুই টাকা বেঁচে যায়। বাবর আলী দশ নম্বর নেমে দেখেন, ইমাম সাহেবের এশার জামাতের সময় হয়ে গেছে। ইমামদের আগেই মসজিদের যেতে হয়। এসেছেন যখন তখন একটু দেরি করে দেখা করেই যাওয়া ভালো।
দশ নম্বরের একটা কসমেটিকসের দোকানের দিকে নজর যেতেই কাজের কথা মনে পড়ে গেল। তাঁর স্ত্রী মেয়েটার জন্য একটা মেকআপ বক্স কিনে আনতে বলেছে। মেকআপের জোরে যদি পাত্রী দেখতে আসা ছেলেদের পছন্দ হয়। এত দিন সাধারণ সাজে কাজ হয়নি। বিউটি পারলার থেকে সাজানোর সামর্থ্য নেই। কাজেই মেকআপ বক্স। ওটার কথা মনে করেই তিনি বেতন থেকে বাঁচানো আলাদা করে রাখা এক হাজার টাকা মানিব্যাগে নিয়ে বেরিয়েছেন।
কসমেটিকসের কয়েকটা দোকান ঘুরে অনেক ঘেঁটেঘুঁটে একটা মেকআপ বক্স পছন্দ হলো। দাম সাত শ টাকা। তিনি মানিব্যাগের জন্য প্যান্টের পেছনের পকেটে হাত দিলেন। মানিব্যাগ হাওয়া। ভুল করে অন্য পকেটে রেখেছেন ভেবে দোকানের ফ্যানের নিচে ঘামতে ঘামতে সারা শরীর আতি-পাতি করে ফেললেন। দোকানের ফচকে ছোড়া মেকআপ বক্সটা তুলে রাখতে রাখতে ফিচলে হাসি দিয়ে বলল, ‘পকেটমারে ফাঁক করে দিয়েছে নাকি, চাচা?’
তিনি তাঁর উত্তরে বিড়বিড় করে বললেন, ‘শুয়োরের বাচ্চাদের পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিত।’
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ০২, ২০১০
Leave a Reply