কী আশ্বর্য রূপমাধুর্য মানবদেহ-খান ।
দেখিলে তার রূপের ছটা আকুল হইয়া যায় পরান ॥
দেখতে তারে কেমন শোভা মহন্তেরি মনলোভা
নয়ন মেলে দেখরে তোরা, বেঁধেছে কাবা কাউছান ।
মক্কা-কাশি-বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ গহন কাননে
তপস্যারই পীঠস্থানে পড়তে দিচ্ছে বেদ কোরআন ॥
মণিপুরের স্বাধীন রাজা উড়াইয়া ধর্মের ধ্বজা
শাসনের রাখিয়া প্রজা, সঙ্গে নিয়া স্বাধিষ্ঠান ।
রাজনীতি রক্ষার জন্য নেপালি আর গুর্খা সৈন্য
এই দেহ করিতে ধন্য আরোহী হলেন সবে জান ॥
যেমন বিলাতে সাইবের কাঁচারি ইংলান্ডে হয় বসতবাড়ি
পঞ্চম জজ আর রানী মেরী সেনা সৈন্য নেঘাবান ।
চৌদ্দ পোয়া জমিদারী পাঁচজনা তার কর্মচারী
ষোলজনা মালপ্রহরী ছয়জন রাখছে দারোয়ান ॥
লাকসামে লাইনের গুঁড়ি হওয়াতে চালাইছে গাড়ি
বাহত্তর হাজার নারী তিন তারে গাড়া নিশান ।
ইঙ্গিলা পিঙ্গিলা তারে মাঝে রেখে সুষুম্নারে
তিন তারে তিন শব্দ করে উভয়ে সমান ॥
জানবে যদি এসব খবর আগে ছাড় ভাত কাপড়
গাছতলায় বান্ধিয়া বাসর পড়ে লও বিশ্ববিজ্ঞান ৷
বলে কাঙ্গাল রশিদ উদ্দিন এসব তথ্য বড়োই কঠিন
বেহুঁশের হালতে কয়দিন, ঘুরলাম কত পাহাড় ময়দান ॥
পূর্ববর্তী:
« কী আনন্দে কুঞ্জ সাজায় সখী
« কী আনন্দে কুঞ্জ সাজায় সখী
পরবর্তী:
কী করি অবলা সয় না প্রেমজ্বালা »
কী করি অবলা সয় না প্রেমজ্বালা »
Leave a Reply