মানুষ বানাইয়া খোদা গেল ছাপিয়া
পায়না খুঁজিয়া দেয় না ধরা ॥
আপে সাই নিরঞ্জন, আপনি করিয়া পছন্দ
বানাইল আদম তন দেখ না তরা ॥
করিয়া বৃদ্ধি বল, আপনারই অবিকল
আগুন হওয়া মাটি জল দিয়াছে বেড়া ॥
করিল আজব কাণ্ড, বানাইয়া দেহভাণ্ড
অখণ্ড হৃদয়পিণ্ড, ভিতরে ভরা
মস্তক হইতে পাও ধরে, মানুষের ঘরে ঘরে
দুইশত ছয়টি হারে লাগাইছে জোড়া ॥
প্রথমে মস্তকে জান, হাড্ডি দিল আটখান
মুখেতে চৌদ্দটি মান, হাড়ের জোড়া ।
সাতটি হাড় ঘাড়ে বটে, পঁচিশটি হাড় বুকে মোটে
চাব্বিশটি নিয়া দিল পিঠে ইসকুরুপ মারা ॥
দুই হাতে চৌষট্টিটি কোমর হইতে ভাটি
দুই পায়ে বাষট্টি জোড়া তারা ।
এই হইল মোটামুটি, দিয়েছে হাড়ের খুঁটি ॥
নইলে কি আর এই দেহটি থাকিত খাড়া ॥
ঐ সুন্দর ঘরখনি, তিন পাতার দিয়াছে ছানি
তিন তারের গাথুনি সর্বাঙ্গ জোড়া ।
কহে কবি রশিদ উদ্দিন, কই যদি প্রতিদিন
ফুরাইত না দেহার চিন জনমভরা ॥
পূর্ববর্তী:
« মানুষ ধর মানুষ ভজ শোন বলিরে পাগল মন
« মানুষ ধর মানুষ ভজ শোন বলিরে পাগল মন
পরবর্তী:
মানুষ বানাইয়া, খেলছ তারে লাইয়া »
মানুষ বানাইয়া, খেলছ তারে লাইয়া »
Leave a Reply