ললিতা বিশখা শ্যামকে আনিয়া দেখা
প্ৰাণ যায় বিচ্ছেদের জ্বালায়
আমার মরণকালে বন্ধু রহিল কোথায়।।ধু।।
হায় হায় প্ৰাণ যায় বিচ্ছেদের জ্বালায়
পন্থপানে চাইতে চাইতে আর নাহি সহা যায়।
বল সখী কি করি উপায় ফুলের শয্যা বাসি হইয়া যায়
আইল না কালুশী কুহু, রবে ডাক্ছে কোকিলায়।
কেওয়া কেতকী ফুল মালতী রঙ্গন বকুল
চুয়া চন্দন রইলো কটরায়।
ভাইবে রাধারমণ বলে শ্যাম রহিয়াছে চন্দ্রার কুঞ্জে
প্রেমের জেলখানায়।
পাঠান্তর–
হায় হায় …. জ্বালায় > হায় হায় হায়, যার লাগি বনবাসী হই/ সে-বা কই আর আমি কাঁই/ বল সখী কি করি উপায়; আর নাহি সহা যায় >ধৈৰ্য না মানে চিতে; আইল না… কোকিলায় > বন্ধু আসবে বলে বইলা বইলাছে আমায়; কেওয়া কেতকী… চন্দ্রার কুঞ্জে -> ভাইবে রাধারমণ বলে চন্দ্রাবলি পাইয়া পন্থে বন্ধু রাইখছে।
পূর্ববর্তী:
« ললিতলাবণ্যরূপে দেখা দাও হে বংশীধারী
« ললিতলাবণ্যরূপে দেখা দাও হে বংশীধারী
পরবর্তী:
ললিতে বিনয় করি বলিগো শ্যাম নাম আর লইও না »
ললিতে বিনয় করি বলিগো শ্যাম নাম আর লইও না »
Leave a Reply