কিনে কষ্টিপাথর অষ্ট ধাতুর অথবা পিতলের ঠাকুর বিদ্যুতের প্রদীপ জ্বালিয়ে মাটির নৈবিদ্য সাজিয়ে সংক্ষেপে ধরতে চাও মনা স্বর্গের দৌরাস্তা। কৃষ্ণটা কি এতোই সস্তা? দেখি হরিসভায় টেপরেকর্ডার শোনায় ভক্তি গান ভক্তরা কেউ বসে ঝিমায় কেউ খায় বিড়ি-পান আমার ভাবতে অবাক লাগে ধর্মের কি দুরবস্থা। কৃষ্ণটা কি এতোই সস্তা? করতো মুণি-ঋষি কঠোর সাধন পাহাড় বা জঙ্গলে ধর্ম রাজ্যে মোক্ষ সাধন হয় না কৌশলে যেথায় সোনা বলে চালানো যাবেনা রে দস্তা। কৃষ্ণটা কি এতোই সস্তা? ভজো মনফুলে বনমালী হৃদয় মন্দিরে ধর্মের নামে ভণ্ডামী ছাড়ো ধীরে ধীরে নকুল কয় সব জলে ফ্যালো ভরিয়া বস্তা। কৃষ্ণটা কি এতোই সস্তা?
——————————-
নকুল কুমার বিশ্বাস
রচনা- ০১.০৯.২০০২
কোলকাতা
(আজকাল কোলকাতার অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় মাথার উপরে ঝুলন্ত মন্দির এবং সেখানে হয়তো কোন কষ্টিপাথর, অষ্ট ধাতুর অথবা পিতলের ঠাকুর বসিয়ে বিদ্যুতের প্রদীপ জ্বালিয়ে, মাটির নৈবিদ্য সাজিয়ে (মাটি দ্বারা নির্মিত কলা, আপেল, কমলা ইত্যাদি পারমানেন্ট নৈবিদ্য) সকাল-বিকাল ভক্তরা প্রণাম করছেন। আবার গ্রাম-গঞ্জে আজকাল হরিসভা-ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভক্তরা টেপরেকর্ডারে ভক্তিগীতি বাজিয়ে সংক্ষেপে সারছেন সাধন-ভজন। এসব দেখেই শিল্পী লিখেছেন এই গানটি।)
Leave a Reply