পাঁঠা দিয়ে মহিষ দিয়ে টাকা দিয়ে পয়সা দিয়ে ভজন-পূজন করছো কার ঈশ্বর কি ঘুষখোর অফিসার? তোমার দু\'টাকা প্রণামী পেয়ে আড়াইশো বাতাসা খেয়ে খুলে দেবেন স্বর্গের দ্বার। ঈশ্বর কি ঘুষখোর অফিসার? মন্দিরে চিনি সাজিয়ে কারে করো আহ্বান এতই যদি চিনির ভক্ত হতেন হরি ভগবান তবে তারে পাইতো আগে চিনি কলের ম্যানেজার। ঈশ্বর কি ঘুষখোর অফিসার? তারে মাইক লাগাইয়া চিৎকার করে ডাকো কি কারণে তোমারা কি মনে করো ভগবান কানে কম শোনে কেন অন্য ভাষায় ডাকো তারে বাংলা কি জানা নেই তার। ঈশ্বর কি ঘুষখোর অফিসার? কৃষ্ণ বলে ডাকলেই যদি কৃষ্ণকে পাওয়া যেতো তবে যার ছেলের নাম কৃষ্ণ সেই তো কৃষ্ণকে আগে পেতো আবার কৃষ্ণ গুণগান করে স্বর্গে যেতো টেপরেকর্ডার। ঈশ্বর কি ঘুষখোর অফিসার? কেউ স্বর্গ সুখ পাওয়ার আশায় তীর্থেরই পথে ঝোঁকে নরক ভয় ঘন ঘন মাটিতে মাথা ঠোকে বলো তারে খোঁজে ক\'জন লোকে নকুল কয় ভাবা দরকার। ঈশ্বর কি ঘুষখোর অফিসার?
——————————-
নকুল কুমার বিশ্বাস
অ্যালবাম: ঘুষ খোর
রচনা- ০৫.০১.৯৬
বুদ্ধিহীন বুদ্ধিজীবী
mp3 ডাউনলোড লিংক চাই।