বলো নামের শেষে পদবিটা এই যুগে আর কী দরকার
যুক্তি নাই এই উপাধি এখন টানার
ছিলো প্রাচীনকালে প্রয়োজন খেতাব শুনে পেশা জানার।
হলো কীর্তন করে কীর্তনীয়া ঘর বানাইয়া ঘরামী
গাইন আর বাইন তারাই যারা গান বাজনায় ছিলো নামী
হলো মোড়ল থেকে মণ্ডল টাইটেল টিকা দিয়ে টিকাদার।
যুক্তি নাই এই পদবি এখন টানার।।
প্রচুর ভূমির মালিক যারা তারাইতো ভূঁইয়া-ভৌমিক
বৈরাগ্য থেকে বৈরাগী মল্লযোদ্ধারা মল্লিক
ছিলো কাঠের কাজে বাড়ৈ টাইটেল তালুক থেকে তালুকদার
যুক্তি নাই এই পদবি এখন টানার।।
বাদশাহের রাজস্ব হিসাব রাখতো যে সে মজুমদার
রাজস্ব আদায়কারীদের উপাধি ছিলো সরকার
পেলো পাইকের নেতা সর্দার টাইটেল ঢালী আখ্যা ঢাল যোদ্ধার।
যুক্তি নাই এই পদবি এখন টানার।।
শিবের গাজন গেয়ে বালা আনুগত্য থেকে দাস
রাজার বিশ্বাসী প্রজারা পেয়েছে টাইটেল বিশ্বাস
যারা শান্তিরক্ষক কর্মচারী তারাইতো ছিলো শিকদার।
যুক্তি নাই এই পদবি এখন টানার।।
ছিলো চৌধুরী আর রায় উপাধি যারা রাজা জমিদার
\’হাওলা\’ মানে তত্ত্বাবধান সেইসূত্রে হলো হালদার
যে আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসক বৈদ্য টাইটেল ছিলো তার।
যুক্তি নাই এই পদবি এখন টানার।।
জাগে পদবিতে হীনতা আর কারও অহঙ্কার
তাই আইন করে এ পদবিকে তুলে দেওয়া খুব দরকার
নকুল কয় পাক্ যোগ্য সম্মান- গুণ যোগ্যতা যেটুক যার।
যুক্তি নাই এই পদবি এখন টানার।।
—————————
নকুল কুমার বিশ্বাস
Leave a Reply