(কথিত শূদ্রবর্ণের লোকেরা মন্দিরের প্রণামীর বাক্সে হাত দিয়ে টাকা ফেললেও প্রণামীর বাক্স বা মন্দির কোনোটাই অপবিত্র হয় না। এমন কি, সেই টাকায় ঠাকুর-দেবতার নৈবিদ্য কিনলেও পূজা অশুদ্ধ হয় না। কিন্তু কোনো নিম্নবর্ণের ভক্ত যদি পূজারীকে ছুঁয়ে দেয় তখন পূজারীকে আবার স্নান করে অথবা গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধ হয়ে তবে পূজায় বসতে হয়। এমনি একটি বাস্তব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই গানটির উৎপত্তি।)
বর্ণভেদের মর্মবাণী শোনো বলি তথ্য তার
সাহা-কুণ্ডু-ব্রাহ্মণ-মুচি কোন্ বর্ণে জন্ম কাহার।
\’বৃ\’-ধাতু হইতে সৃষ্টি বর্ণ কথাটিরে ভাই
\’বৃ\’ অর্থ বরণ করা শোনো তোমাদের জানাই
যে কর্ম যে বরণ করে
সেজনই সে বর্ণ ধরে
শুদ্রও ব্রাহ্মণ হতে পারে
শাস্ত্রে পাই তা দেখিবার।।
\”চাতুরবর্ণং ময়াসৃষ্টং গুণকর্ম বিভাগশঃ\”
গীতার পাতায় লেখা আছে খুলে একবার পড়ে এসো
তোমরা গীতার পাতা নাহি পড়ে
পিতার পরিচয়টি ধরে
রকের দাবি শক্ত করে
কেউ ধারো না কারো ধার।।
কর্মগুণে বর্ণ পাল্টায় শাস্ত্রের পাতায় দেখতে পাই
ক্ষত্রিয় সে বিশ্বামিত্র ব্রাহ্মণ হয়েছিলো তাই
শূদ্র নাকি ছিলো শুনি
কক্ষিবত্ আর ঔলষমুনি
হলো তারা হয়ে গুণী
ব্রাহ্মণ বর্ণে একাকার।।
তবে শুদ্র গুণী হলেও কেনো বৈশ্যতে ঘৃণা করে
দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত হলেও ব্রাহ্মণে নেয় না ঘরে
বর্ণ-জাতি এক করেছে
ওই বেদখানা কে লিখেছে
নকুল বলে আশা আছে
জাতিভেদ জানিবার।।
——————————
নকুল কুমার বিশ্বাস
Leave a Reply