ধিন কেটে ধিন ধিন কেটে ধিন
বাজে ঝড়ের ঢাক।
তার সাথে ঐ কঁসি বাজায়
ঝি ঝি পোকার ডাক।
বিদ্যুৎ বৌ মুচকি হাসে
মেঘ চিকেরই ফাঁকে।
আর কবির লড়াই চলছে যে ঐ
কে বা হারায় কাকে।
এক পক্ষে বজ্র কবি
আর তার পাল্লা অলির ঝাঁক।
শুনহে সব কইল হেঁকে
বজ্র কবিয়াল।
সবল যে গো তাহারই হয়
জয় যে চিরকাল।
এই না শুনে মক্ষিরাণী
পাল্টা জবাব দেয়
তাই তো শেষে পায় না পানি
তোমার তাহার হাল।
ফের কেন আর বড়াই করো,
ঢের হয়েছে থাক।।
বজ্র বলে থাকবে কেন
প্রমাণ যদি চাও।
শাস্ত্ৰ পুরাণ সমান আমার
বচন শুনে যাও।
সবল আমি আমার কাছে
কেউ ভেড়ে না তাই
এই দেখনা হাতে হাতেই
প্রমাণ দিয়ে যাই।
এই না শুনে শ্রোতারা সব
হল হতবাক।।
এবার যে গো জবাবে ঐ
মক্ষিরাণী কয়
জ্ঞানের কথা বেশ বলেছ
বাবু মহাশয়।
তোমার হাঁকে মাটি কাপে
ফুল ও পাতা ঝরে।
আমার গানের মিষ্টি সুরে
স্বপ্নে তারা ভবে।
তোমার অমাব মধ্যিখানে
এইটুকু যা ফাঁক।।
———–
শিল্পী : হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
সুর : নচিকেতা ঘোষ
Leave a Reply