মাঝে মাঝে হাত দুটো নিশপিশ করে ( ২ )
সাধ হয় এ দুহাতে চকচকে চোখ থেকে স্বপ্ন ছিনিয়ে এনে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিই এখানে সেখানে
এখানে সেখানে ভায়া এখানে সেখানে
শ্মশানে কফিনে বা মুদির দোকানে
যেখানে স্বপ্ন দেখা লাগাতার বন্ ধ
সুর নেই তাল নেই শুধু হরতাল
সোনালী সকালটাকে অকালে ভেজাবে বলে
শ্যামলা মেঘের দল হামলা করবে আস্তিন গুটিয়েছে
আস্তিন গুটিয়েছে ওরা বেঁধেছে যে জোট |
বলে ফোট ফোট ফোট ,
বল আয়—
যা মেঘেদের দেশে গিয়ে বলে দে দেখে নেব কত রংবাজকে
বল আয়—
শোন আমরাও বেঁচে আছি
চাঁদা তুলে বর্ষাতি কিনে দেব সূর্যকে
দেখব ভেজায় শৌর্যকে কে ?
সুরের ব্যাপারী সবজান্তার দল
বসেছে গুছিয়ে সব সাজিয়ে দোকান
চোলিকে পিছে ছুটে ছুটে হয়রান
নতুন সংযোজন জীবনের গান
এ ভোলা আমাদের নাকি কিছু হবে না ( ৩ )
সারেগামাগারেসা সারেসানি
এ ভাবে গান আমি শিখিনি
তাই আমার বাঁধা গান কখনও পাবে না প্রাণ
বেকার এ গান কেউ শুনবে না
এ ভোলা — ( কী হল কী হল ? )
আমাদের নাকি কিছু হবে না
মাঝে মাঝে মন খুব মনমরা মন
চুপি চুপি পড়ে থাকে লাশকাটা ঘরে
ময়না তদন্ত কেউ করে না কখনও
মরে যাওয়া মনটাকে ছিঁড়ে কেটে খুঁড়ে
মরা এ মনের খোঁজ কে করবে বল
শকুনের দল
কাজ চাই কাজ বলে কাজ চাই কাজ
শকুনের দল
অপেক্ষা করে থাকি কখন সকাল
আসবে বুলিয়ে দেবে সোনার পরশ
গোমড়া মেঘের মুখ হবেই হতাশ
পালাবার পথ খুঁজে পাবে না তখন
দেওয়ালে ঠেকেছে পিঠ বাঁধ রে কোমর
চিত্কার করে বল—
বল আয়—
যা মেঘেদের দেশে গিয়ে
বলে দে
দেখে নেব কত রংবাজকে
বল আয়—
শোন আমরাও বেঁচে আছি
চাঁদা তুলে বর্ষাতি কিনে দেবে সূর্যকে
দেখব ভেজায় শৌর্যকে কে ?
সুরের ব্যাপারী —
এ ভোলা—
এ বিষ্ণু —
Leave a Reply