‘আমি যখন কপিলাবস্তু থেকে বেরিয়ে আসি
তখন ঘরে সোনার পালঙ্কে স্ত্রী, ঘিয়ের প্রদীপ জ্বলছিল
সেখানে। শিশুপুত্র।
প্রশান্তির আনন্দে নিদ্রাভিভূত নগরীর সবাই।
আমি বেরিয়ে পড়েছি মধ্যরাতে
তখন তোরণ খুলে গেছে কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই।
রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে দেখেছি অন্ধকারের দিগন্ত আকাশ
নক্ষত্রের কানাকানি
নিঃশব্দ মহাকাশ
আমি তখন বেরিয়ে পড়েছি পথে
সঙ্গীহীন, শঙ্কাহীন
তারপর বহুকাল চলে গেছে
আমি জেনে গেছি নিদ্রাহীন রাত, অনাহারী দিন
মৃত্তিকা শয়ন, পথে পথে হেঁটে হেঁটে জেনে গেছি
রক্তপাত কাকে বলে।
ক্ষুধা আর তৃষ্ণাকে আমি ভালোভাবে বুঝতে শিখেছি
অতিক্রম করেছি এসব
যাবতীয় ভয়কে করেছি জয়।
শুধু তখনো বুঝিনি নির্বাণ কতদূর
কে আছেন সুজাতা? তার পায়েসান্ন কী?’
কপিলাবস্তুর যুবরাজ বোধিবৃক্ষের নিচে
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদেন—
তখনও গভীর রাত, নক্ষত্রের কানাকানি আছে
নিঃশব্দ মহাকাশ, শুধু
নির্বাণের তোরণ সে তখনো বহুদূর, সে তখনো খোলে না…
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ০৫, ২০১০
Leave a Reply