মাথুর ।। সুহিনী ।।
হে কুবুজার বন্ধু। (১)
পাসরেছ রাই মুখইন্দু।। (২)
হে পাগধারী। (৩)
পাসরেছ নবীন কিশোরী।।
রাই পাঠা’ল মোরে।
দাসখত (৪) দেখাবার তরে।।
যাতে মোরা আছি সাখী (৫)।
পদতলে নাম দিলে লেখি।।
তুমি ব্রজে যা’বে যবে।
করতালি বাজাইব সবে।।
দ্বিজ চণ্ডীদাস ভণে।
গালি দিব যত আছে মনে।।
——————-
(১) সখীরা শ্রীকৃষ্ণকে শ্রীরাধিকার বন্ধু ভিন্ন জানিতেন না, মথুরাতে শ্রীকৃষ্ণ কুবুজাকে রাণী করিয়াছিলেন দেখিয়া সখীশ্লেষপূর্ব্বক “কুবুজার বন্ধু” বলিয়া সম্বোধন করিতেছেন।
(২) রাই মুখ চন্দ্রমা কি তোমার নেই—ভুলিয়া গিয়াছ?
(৩) মথুরাতে শ্রীকৃষ্ণ রাজবেশে রহিয়াছেন। সখীরা সে বেশ কখন দেখেন নাই, সেই জন্য ব্যঙ্গছলে সখী ‘পাগধারী” সম্বোধন করিতেছেন।
(৪) শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধিকার নিকট দাসখত লিখিয়া দিয়াছিলেন।
দাসখত বর্ণনা—
“ইয়াদি কিদ্দ, গুণ সমুদ্র, শত সাধু শ্রীরাধা।
সদুদারস্য, চরিত, তস্য, পুরাহ মনের সাধা।।
তস্য খাতক, হরি নায়ক, বসতি ব্রজপুরি।
কস্য করজ, পত্রমিদং লিখিলাম সুকুমারি।।
ইহার লভ্য, পাইবা ভব্য, বাঞ্ছা তিন করিয়া।
সুদ সমেত, শোধ করিব, সব কলিযুগ ভরিয়া।।
এই করারে, রাই তোমারে, খত দিলাম লিখি।
ললিতাদি, মঞ্জরি সখী, রহল ইহাতে সাক্ষী।।”
– গী, র, ব।
(৫) সাক্ষী।
Leave a Reply