দুকাণ পাতিয়া, ছিল এতক্ষণ,
বঁধু পথ পানে চাই।
পরভার নিশি, দেখিয়া অমনি,
চমকি উঠিল রাই।।
পাতায় পাতায়, পড়িছে শিশির,
সখীরে কহিছে ধনী।
বাহির হইয়া, দেখলো সজনি,
বঁধুর শবদ শুনি।
পুন কহে রাই, না আসিল বঁধু,
মরমে রহল ব্যথা।
কি বুদ্ধি করিব, পাষাণে ধরিয়া,
ভাঙ্গিব আপন মাথা।।
ফুলের এ ডালা, ফুলের এ মালা,
শেজ বিছাইনু ফুলে।
সব হৈল বাসি, আর কেন সই,
ভাসাগে যমুনাজলে।।
কুঙ্কুম কস্তূরী, চুবক চন্দন,
লাগিছে গরল হেন।
তাম্বুল বিরস, ফুলহার ফণী,
দংশিছে হৃদয়ে যেন।।(১)
সকল লইয়া, যমুনায় ডার (২),
আর ত না যায় দেখা।
ললাটের সিন্দূর, মুছি কর দূর,
নয়ানের কাজর রেখা।।
আর না রাখিব, এছার পরাণ,
না যাব লোকের মাঝে।
থর হও রাই (৩), চলু চণ্ডীদাস,
আনিতে নিঠুর রাজে (৪)।।
————–
বিপ্রলব্ধা ।। ধানশী ।।
(১) ফুলের হার সর্প হইয়া যেন হৃদয়কে দংশন করতেছে।
(২) ফেলিয়া দাও।]
(৩) স্থির হও রাই।
(৪) নিষ্ঠুর রাজা–শ্রীকৃষ্ণ।
Leave a Reply