দৈব যুকতি, বিশেষ গতি,
যাহারে লাগয়ে তায়।
আন আন জনে, করিয়া যতনে,
প্রেমেতে গড়ায়ে দেয়।।
সই! এমনি কানুর রসে।
জনম অবধি, রহিবে পিরীতি,
বিচ্ছেদ না হবে শেষে।।
যেই মনে ছিল, তাহা না হইল,
সোঙরিতে প্রাণ কাঁদে।
লেহ দাবানলে, বন যেন জ্বলে,
হরিণী পড়িল ফাঁদে।।
পলাইতে চায়, পথ নাহি পায়,
দেখে যে আনলময়।
বনের মাঝারে, ছটফট করে,
কত বা পরাণে সয়।।
বাহিরে আসিয়া, বাণ যে খাইয়া,
পশিতে তাহাতে পুন।
গরল আনলে, শরীর বিবল,
শামাইতে নারে যেন।।
করীবর আদি, না পায় সমাধি,
ফিরিয়া চীৎকার করে।
একে কুল নারী, ফুকারিতে নারি,
ননদী আছয়ে ঘরে।।
এমতি আকার, পিরীতি তাহার,
বহিয়া দহিছে মনে।
ননদী বচনে, দগধে পরাণে,
পাঁজর বিধিল ঘুণে।।
নয়নে নয়নে, নজর পীঁজরে,
রাখয়ে আপন কাছে।
জলে যাই যবে, সঙ্গে চলে তবে,
শ্যামেরে দেখি যে পাছে।।
চণ্ডীদাস কয়, বাশুলীর সায়,
মনেতে থাকয়ে যদি।
যে জন যা বিনে, না জীয়ে পরাণে,
তার কি করে ননদী।।
————–
অনুরাগ।–সখী সম্বোধনে ।। ধানশী ।।
বহিয়া দহিছে মনে – পাঠান্তর–\”রহিতে সহিছে মনে\”–প্রা, কা, সং।
পীঁজরে – খাঁচায়। যা বিনে – যাহা বিহনে।
Leave a Reply