আর একদিন সখি শুতিয়া আছিনু।
বঁধুয়ার ভরমে ননদী কোরে নিনু।।
বঁধু নাম শুনি সেই উঠিল রুষিয়া।
কহে তোর বঁধু কোথা গেল পলাইয়া?
সতী কুলবতী কুলে জ্বালি দিলি আগি।
আছিল আমার ভালে তোর বধভাগী।।
শুনিয়া বচন তার অথির পরাণি।
কাঁপয়ে শরীর, দেখি আঁখির তাজনি।।
কেমনে এড়াব সখি! তাপিনীর হাতে।
বনের হরিণী থাকে কিরাতের সাতে।।
দ্বিজ চণ্ডীদাসে বলে পিরীতি এমতি।
যার যত জ্বালা তার ততই পিরীতি।।
————–
সম্ভোগ মিলন ।। ললিত ।।
নিনু – লইলাম। আগি – আগুণ। অথির – অস্থির। তাজনি – তর্জ্জন। কিরাতের – ব্যাধের।
Leave a Reply