কানুর পিরীতি, কুহকের রীতি,
সকলি মিছাই রঙ্গ।
দড়াদড়ি লৈঞা, গ্রামেতে চড়িয়া,
ফিরয়ে করিয়ে সঙ্গ।।
সই! কানু বড় জানে বাজি।
বাঁশ বংশীধারি, মদন সঙ্গে করি,
ঢোলক ঢালক সাজি।।
মদন ঘুরিয়া, বেড়ায় ফিরিয়া,
যুবতী বাহির করে।
দুইটী গুটিয়া, ফেলাঞা লুফিয়া,
বুকের উপর ধরে।।
ধীরি ধীরি যায়, ভঙ্গী করি চায়,
রঙ্গ দেখে সব লোকে।
দড়ায়ে পায়ে, উঠয়ে তাহে,
থাকি থাকি দেহ ঝোঁকে।
মুকুতা প্রবাল, উগরে সকল,
আর বহুমূল্য হীরা।
একবার আসি, উগরে রাশি,
নাচিয়া বেড়ায় ফিরা।
কতক্ষণ বই, বাঁশ হাতে লই,
যুবতী হিয়ার পাড়ে।
জঙ্ঘে জঙ্ঘ দিয়া, পায়েতে ছান্দিয়া,
বাঁশের উপর চড়ে।।
চড়িয়া উপরে, ঝুলিয়া পড়য়ে,
চুম্বই যুবতী মুখে।
মুখে মুখ দিয়া, পান গুয়া নিয়া,
ঘুরিয়া বেড়ায় সুখে।।
লোক নহে রাজি, কেমন সে বাজি,
রমণী ভুলাবার তরে।
চণ্ডীদাস কয়, বাজি মিছে নয়,
রঙ্গ কে বুঝিতে পারে।
————–
শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ং দৌত্য ।। তুড়ি ।।
কুহক – বাজিকর। লৈঞা – লইয়া। দড়ায়ে পায়ে – পায়ে দড়ি জড়াইয়া। উগরে – উদ্গীরণ করে। কতক্ষণ বই – কতক্ষণ পরে।
Leave a Reply