সজনি ও ধনী কে কহ বটে।
গোরোচনা গৌরী, নবীন কিশোরী,
নাহিতে দেখিনু ঘাটে।।
শুনহে পরাণ, সুবল সাঙ্গাতি,
কো ধনী মাজিছে গা।
যমুনার তীরে, বসি তার নীরে,
পায়ের উপরে পা।।
অঙ্গের বসন, কৈরাছে আসন,
আলাঞা দিয়াছে বেণী।
উচ কুচ মূলে, হেম হার দোলে,
সুমেরু শিখর জানি।।
সিনিয়া উঠিতে, নিতম্ব তটীতে,
পড়েছে চিকুর রাশি।
কাঁদিয়ে আঁধার, কলঙ্ক চাঁদার,
শরন লইল আসি।
কিবা সে দুগুলি, শঙ্খঝলমলি,
সরু সরু শশীকলা।
সাঁজেতে উদয়, সুধু সুধাময়,
দেখিয়ে হইনু ভোলা।।
চলে নীল শাড়ী, নিঙ্গাড়ি নিঙ্গাড়ি,
পরাণ সহিত মোর।
সেই হৈতে মোর, হিয়া নহে থির,
মনমথ জ্বরে ভোর।।
কহে চণ্ডীদাসে, বাশুলি আদেশে,
শুনহে নাগর চন্দা।
সে যে বৃষভানু রাজার নন্দিনী,
নাম বিনোদিনী রাধা।।
——————-
শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ ।। ধানশী ।। (স্নান কালে)
গোরোচনা – গোমস্তকলব্ধ পীতদ্রব্য বিশেষ। এখানে পীতবর্ণা গোরী পাঠও আছে। কৈরাছে – করিয়াছে। আলাঞা – এলাইয়া। সিনিয়া – স্নান করিয়া। সাঁজেতে – সন্ধ্যার সময়। ভোলা – (বিভিন্ন পাঠ—“ভোরা”।)
Leave a Reply