নবীন কিশোরী, মেঘের বিজুরি,
চমকি চলিয়া গেল।
সঙ্গের সঙ্গিনী, সকল কামিনী,
ততহি উদয় ভেল।।
সই! জনমিয়া দেখি নাই হেন নারী।
ভঙ্গিম রঙ্গিম, ঘন সে চাহনি,
গলে যে মোতিম হারি।।
অঙ্গের সৌরভে, ভ্রমরা ধাওয়ে,
ঝঙ্কার করয়ে যাই।
অঙ্গের বসন, ঘুচায় কখন,
কখন ঝাঁপয়ে তাও।।
মনের সহিতে, মরম কৌতুকে,
সখীর কান্দেতে বাহু।
হাসির চাহনি, দেখাল কামিনী,
পরান হারানু তহু।।
হাসির চাহনি, দেখাল কামিনী,
পরান হারানু তহু।।
চলন ভঙ্গী, অতি সুরঙ্গী,
চাপটিলে জীবন মোর।
অঙ্গুলির আগে, চাঁদ যে ঝলকে,
পড়িছে উছলি জোর।।
চাহে যাহা পানে, বধয়ে পরাণে,
দারুন চাহনি তার।
হিয়ার ভিতরে, পাঁজর কাটিয়ে,
বিঁধিল বাণ যে মার।।
জর জর হিয়া, রহিল পড়িয়া,
চেতন নহিল মোর।
চণ্ডীদাসে কয়, ব্যাধি সমাধি নয়,
দেখিয়া হইনু ভোর।।
——————-
শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ ।। তুড়ি ।।
বিজুরি – বিজলী। ভেল – হইল। হারি – মুক্তাহার। ঝাঁপয়ে – আবৃত করে। তহু – তাহাতে। সমাধি – শেষ।
Leave a Reply