তড়িত বরণী, হরিণ নয়নী,
দেখিনু আঙ্গিরা মাঝে।
কিবা বা দিঞা, অমিয়া ছানিয়া,
গড়িল কোন বা রাজে।।
সই! কিবা সে সুন্দর রূপ।
চাহিতে চাহিতে, পশি গেল চিতে,
বড়ই রসের কূপ।।
সোণার কটোরি, কুচযুগ গিরি,
কনক মন্দির লাগে।
তাহার উপরেম চুড়াটি বনালে,
সে আর অধিক ভাগে।।
কে এমন কারিগর, বানাইল ঘর,
দেখিতে নারিনু তারে।
দেখিতে পাইতুঁ, শিরোপা করিতুঁ,
এমতি মন যে করে।।
হৃদয়ে আছিল, বেকত হইল,
দেখিতে পাইনু সে।
ঐছন মন্দিরে, শয়ন করে যে,
সে মেনে নাগর কে।।
হিয়ার মালা, যৌবনের ডালা,
পসারী পসারল যেন।
চাকুতে কাটিয়াম চাক যে করিয়া,
তাহাতে বসাইল হেন।।
অধর সুধা, পড়িতে জুদা,
দশন মুকুতা শশী।
চণ্ডীদাসে কয়, ও কথা কি হয়,
মরম কহিলে বটে।
আর কার কাছে, কহ যদি পাছে,
তবে যে কুৎসা রটে।।
——————-
শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ ।। তুড়ি ।।
\”হরিণ নয়নী, দেখিনু আঙ্গিরা মাঝে”—“তরুণী হরিণী, রাই দেখিনু আঙ্গিনা মাঝে” পাঠও আছে।
দিঞা – দিয়া। চুড়া – চুচুক। পাইতুঁ – পাইতাম। করিতুঁ – করিতাম। বেকত – ব্যক্ত। পসারল – বিস্তার করিল। জুদা – পৃথক; আলাহিদা।
Leave a Reply