কালিয়া বরণ, হিরণ-পিঁধন
যখন পড়য়ে মনে।
মুরছি পড়িয়া, কাঁদয়ে ধরিয়া,
সব সখী জনে জনে।।
কেহ কহে মাই, ওঝা দে ঝাড়াই,
রাইয়েরে পেয়েছে ভূতা।
কাঁপি কাঁপি উঠে, কহিনা না টুটে,
সে যে বৃষভানু-সুতা।।
রক্ষামন্ত্র পড়ে, নিজ চুলে ঝাড়ে,
কেহ বা কহয়ে ছলে।
নিশ্চয় কহি যে, আনি দেও এবে,
কালার গলার ফুলে।।
পাইলে সে ফুল, চেতন পাইয়া,
তবে উঠবেক বালা।
ভূত-প্রেত আদি, ঘুচিয়া যাইবে,
যাইবে অঙ্গের জ্বালা।।
কহে চণ্ডীদাসে, আন উপদেশে,
কুলের বৈরী যে কালা।
দেখাও যতনে, পাইবে চেতনে,
ঘুচিবে অঙ্গের জ্বালা।।
——————-
রাধার পূর্বরাগ ।। ধানশী ।।
হিরণ-পিঁধন -হিরণ্য পরিধান অর্থাৎ পীতাম্বর। দে – দিয়া। ভূতা – ভূত।
\”পাইলে সে ফুল…যাইবে অঙ্গের জ্বালা\”–এইটুকু একখানি হস্ত লিখিত গ্রন্থ হইতে গৃহীত। প্রাচীন কাব্য-সংগ্রহ।।
Leave a Reply