হাম সে অবলা, হৃদয় অখলা
ভাল মন্দ নাহি জানি।
বিরলে বসিয়া, পটেতে লিখিয়া
বিশাখা দেখাল আনি।।
হরি হরি! এমন কেন বা হলো!
বিষম বাড়বা অনল মাঝারে,
আমারে ডাবিয়া দিল।
বয়সে কিশোর, রূপ মনোহর,
অতি সুমধুর রূপ।
নয়ন যুগল, করয়ে শীতল,
বড়ই রসের কূপ।।
নিজ পরিজন, সে নহে আপন,
বচনে বিশ্বাস করি।
চাহিতে তা পানে, পশিল পরাণে,
বুক বিদরিয়া মরি।।
চাহি ছাড়াইতে, ছাড়া নহে চিতে,
এখন করিব কি?
কহে চণ্ডীদাসে, শ্যাম নব রসে,
ঠেকিলা রাজার ঝি।।
——————-
নায়িকার পূর্বরাগ ।। তিরোতা (চিত্রপট দর্শন)।।
হাম – আমি। অখলা – সরলা। বিশাখা – শ্রীরাধিকার অষ্টসখীর মধ্যে দ্বিতীয় সখী।
“দ্বিতীয় বিশাখা ললিতার সম গুণে। প্রিয়সখী সম রয় জন্ম এক গ্রামে।।
……………………। ………………………।।
দূত কর্ম্মে পণ্ডিতা সন্ধিতে বুদ্ধিমান। চতুষ্টয় জ্ঞাতা ভেদ দণ্ড সামদান।।
পত্রাবলী রচনায়-বাদ্য-নৃত্য-গীতে। ……………………… ।।
বেণী বেশ রচনায় সূচী কর্ম্ম আদি। সূর্য্য-পূজা সামগ্রীর আবিষ্কারে সুধী।।
শ্রীরাধিকার মনোবৃত্তি কহিতে আনন্দ। গলাগলি দোঁহে কৃষ্ণ কথায় প্রবন্ধ।।
……………………। ………………………।।”
—ভক্তমাল
ডাবিয়া – নিক্ষেপ করিয়া। বিদরিয়া – ফাটিয়া। রাজার ঝি – বৃষভানু রাজার কন্যা—শ্রীরাধিকা।
Leave a Reply