প্রাণের মুকুন্দ হে আজি কি শুনিনু আচম্বিত।
কহিতে পরাণ যায় মুখে নাহি বাহিরায়
গৌরাঙ্গ ছাড়িবে নবদ্বীপ॥
ইহা ত না জানি মোরা সকালে মিলিনু গোরা
অবনত মাথে আছে বসি।
নিঝরে নয়ন ঝরে বুক বাহি ধারা পড়ে
মলিন হৈয়াছে মুখশশী॥
দেখিয়া তখন প্রাণ সদা করে আনচান
শুধাইতে নাহি অবসর।
ক্ষণেকে সম্বিত হৈল তবে মুঞি নিবেদিল
শুনিয়া দিলেন এ উত্তর॥
আমি ত বিবশ হৈয়া তারে কিছু না কহিয়া
ধাইয়া আইনু তব পাশ।
এই ত কহিনু আমি যে কহিতে পার তুমি
মোর নাহি জীবনের আশ॥
শুনিয়া মুকুন্দ কান্দে হিয়া থির নাহি বান্দে
গদাধরের বদন হেরিয়া।
এ গোবিন্দ ঘোষে কয় ইহা যেন নাহি হয়
তবে মুই যাইব মরিয়া॥
পূর্ববর্তী:
« প্রভাতকালের কাক কোকিল ডাকিল দেখিয়া রজনী শেষ
« প্রভাতকালের কাক কোকিল ডাকিল দেখিয়া রজনী শেষ
Leave a Reply