সুবল বল বল চাই, কেমন আছে কমলিনী রাই,
রাই কারণে বৃন্দাবনের সুবল আমি সদায় কান্দিয়া বেড়াই।।ধু।।
গিয়াছিলাম মন সাধিতে,
সাধলাম রাইয়ার চরণার্বিন্দে
নয়ন তুলে চাইল না গো রাই;
আমার ছিল আশা দিল দাগ রে সুবল
আমার আর পিরীতের কাৰ্য নাই।।
রমণের মন পিয়াসা–শুনরে সুবল সখা
চল মোরা ব্ৰজপুরে যাই;
আমার প্রাণ থাকিতে রাই আনিয়া দেরে সুবল —
আমি জন্মের মত হেরিয়া যাই।
পাঠান্তর : গোঃ গিয়াছিলাম জল আনিতে … হেরিয়া যাই > সুবল রে প্রাণ থাকিতে আনিয়া দেখা/ নইলে প্ৰাণ দায় রাখা / দেখলে বাঁচি নইলে মারি রে / সুবল উপায় নাই/সুবল রে ভাইবে রাধারমণ বলে / যাও রে সুবল শীঘ্র চলে / রাইকারণে দিবানিশি জ্বলে পুড়ে হইছি ছাই।
ভাষান্তর –
ওরে, আমি যার কারণে বৃন্দাবনে রে সুবল
আমি কান্দিয়া সদায় বেড়ায়
কেমন আছে কমলিনী রাই ।।
সুবল বলো বলো বলো চাই
কেমন আছে কমলিনী রাই।
গিয়াছিলাম মন সাধিতে
চাইলাম রাইয়ের চরণবিন্দে
নয়ন তুলে চাইলনাগো রাই।
সুবল গিয়াছিলাম মন সাধিতে
চাইলাম রাইয়ের চরণবিন্দে
নয়ন তুলে চাইলনাগো রাই।
আমার ছিলো আশা দিলো দাগা রে সুবল।।
আমার এই পিরিতের কার্য নয়
কেমন আছে কমলিনী রাই।
রমনেরও মনটি পাষাণ
শোনরে সুবল প্রাণের সখা
চলরে আমরা ব্রজপুরে যায়
রাধা রমনের মন পিপাসা
শোনরে সুবল প্রাণের সখা চলরে আমরা ব্রজপুরে যায়।
আমার প্রাণ থাকিতে রাই আয়না দেখারে সুবল।।
আমি জন্মের মত দেইখ্যা যায়
কেমন আছে কমলিনী রাই।
সুবল, বলো বলো বলো চাই
কেমন আছে কমলিনী রাই।
আমি যার কারণে বৃন্দাবনে রে সুবল
আমি কান্দিয়া সদায় বেড়ায়
কেমন আছে কমলিনী রাই।
——————
রাধারমণ দত্ত
Leave a Reply