হে দোলা হে দোলা
আঁকা বাঁকা পথে মোরা কাঁধে নিয়ে ছুটে যাই
. রাজা-মহারাজাদের দোলা
আমাদের জীবনের ঘামে ভেজা শরীরের
. বিনিময়ে পথ চলে দোলা
এই হেঁইয়া না, এই হেঁইয়া না, এই হেঁইয়া না।
ঐ দোলার ভেতরে ঝল্ মল্ করে যে
. সুন্দর পোশাকের সাজ
আর, ফিরে ফিরে দেখ্ তাই ঝিকিমিকি করে যে
. মাথায় রেশমের তাজ
হায়, মোর ছেলেটির উলঙ্গ শরীরে
. একটুও জামা নেই—খোলা
দু’চোখে জল এলে মনটাকে বেঁধে যে
. তবুও বয়ে যায় দোলা
হে দোলা . . . হে দোলা . . . হেঁইয়ো হো . . . হেঁইয়ো হো . . .
যুগে যুগে চলি মোরা কাঁধে নিয়ে দোলাটি
. দেহ ভেঙে ভেঙে পড়ে
ঘুমে চোখ ঢুলু ঢুলু রাজা-মহারাজাদের
. আমাদের ঘাম ঝরে পড়ে
উঁচু ঐ পাহাড়ে ধীরে ধীরে উঠে যাই
. ভাল ক’রে পায়ে পা মেলা
হঠাৎ কাঁধের থেকে পিছলিয়ে যদি পড়ে
. আর দোলা যাবে না তো তোলা
. রাজা-মহারাজাদের দোলা
. বড় বড় মানুষের দোলা॥
*************************
কথা – শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
সুর ও শিল্পী – ভূপেন হাজারিকা
Leave a Reply