বসে আছি ইস্টিশানেতে, লেবু লজেনসের শিশিটা হাতে,
বোকা কোকিলটার গলা শুকিয়ে কাঠ, গাড়ী আজ লেটে দৌডোচ্ছে।
বাড়ী ছেড়েছি ডিসেমবর মাসে, পালাতে হয়নি দাদা তাড়িয়েছে,
ফিরতে হলে আড়াইশো টাকা, দিতে হবে মাসের শেষে।
অঙ্কতে আশি পেয়েছিলাম একবার, মা ভেবেছিল হব ইঞ্জিনিয়ার,
বাবা কিছুই ভাবতে পারেনি, বাবা ছিল না যে আমার।
কালো ঘর বাড়ী শন্ শন্ যায় সরে, ট্রেনের দোলাতে রোজ দুপুরে,
মায়ের কোলের সেই দোলাটা, যায় মনে পড়ে যায় আমার।
কু ঝিক্ ঝিক্ করে যথন রাত আসে, চাঁদটা মনে হয় এলুমিনিয়ামের,
কারখানার ঐ কালো ধোঁওয়াটা, কেন যে আমায় কাঁদায়।
\”দাদা, একটা মিনি হবে কি ? একটাও লেবু হয়নি বিক্কিরি,
গত কালের পনেরো টাকা থেকে চেকার কে দিতে হবে দশ।\”
একবার ভেবেছিলাম গলাটা যায় যদি যাক ট্রেনের তলাতে,
কিন্তু ঐ এলুমিনিয়ামের চাঁদ, দেয় নি পালাতে আমায়।
একটু আগে গড়িয়ার শিবু, দম দিতে বলল বম্ শংকরে,
মাথাটা তাই কেমন ঝিম ঝিম করছে, গলাটা শুকিয়ে কাঠ।
\”দাদা, একটা মিনি হবে কি ? একটাও লেবু হয়নি বিক্কিরি,
গত কালের পনেরো টাকা থেকে চেকার কে দিতে হবে দশ।\”
বসে আছি ইস্টিশানেতে, লেবু লজেনসের শিশিটা হাতে,
বোকা কোকিলটার গলা শুকিয়ে কাঠ, গাড়ী আজ লেটে দৌডোচ্ছে।
বাড়ী ছেড়েছি ডিসেমবর মাসে, পালাতে হয়নি দাদা তাড়িয়েছে,
ফিরতে হলে আড়াইশো টাকা, দিতে হবে মাসের শেষে।
অঙ্কতে আশি পেয়েছিলাম একবার, মা ভেবেছিল হব ইঞ্জিনিয়ার,
বাবা কিছুই ভাবতে পারেনি, বাবা ছিল না যে আমার।
বসে আছি ইস্টিশানেতে।
Leave a Reply