সূর্যদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি
ও আমার বাংলাদেশ, প্রিয় জন্মভূমি।।
জলসিঁড়ি নদীর তীরে,
তোর খুশির কাঁকন যেন বাজে
ও—কাশবনে ফুলে ফুলে,
তোর মধুর বাসর যেন সাজে
তোর একতারা হায়,
করে বাউল আমায় সুরে সুরে।।
আঁকাবাঁকা মেঠো পথে
তোর রাখাল হৃদয় যেন হাসে
ও—পদ্ম পাতা, দীঘির ঝিলে
তোর সোনার স্বপন যেন ভাসে
তোর এই আঙিনায়
ধরে রাখিস আমায় চিরতরে।।
পূর্ববর্তী:
« সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর মনে একুশ এসেছে ফিরে
« সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর মনে একুশ এসেছে ফিরে
পরবর্তী:
সোনা সোনা সোনা »
সোনা সোনা সোনা »
Roushan Romio
to lyrics vul
মনিশ বিশ্বাস
গানের কথায় ভুল আছে। দয়াকরে ঠিক করুন।
আদিত্য দাস
বড় ভাইদের বিদায় উপলক্ষে বক্তব্য
দরজায় নেড়েছে করা,
মনে চলেছে মহড়া,
দিতে হবে সম্ভাষণ।
অশ্রু নয়নে , ভেঙে যাওয়া মনে জানািই বিদায়ী অভিন্দন।
স্কুল কর্তৃক আয়োজিত বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সভাপতি, শিক্ষক অভিভাবক।
মঞ্চের সামনে উপস্থিত বড় ভাই বোন, স্নেহের ছোট ভাই বোন , বন্ধুরা সকলকে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা, অভিনন্দন ও সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
সম্মানিত উপস্থিতি,
দোলনায় দোল খেতে খেতে, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের। শৈশবের কোন কিছুই আমরা বলতে পারিনা। আর যা বলে থাকি, তা বড় ভাইদের থেকে শোন গল্প।আস্তে আস্তে মনের ভিতর নানা প্রশ্নের উত্তর জানার গাছটা বেড়ে উঠেছে।এই বেড়ে ওঠার তাগের থেকেই জন্ম হয় শিক্ষা অর্জন করার চাহিদা। সভ্যতার পৃথিবীতে এই শিক্ষার জন্য শুরু হয় স্কুল কলেজে যাওয়া।
যদিও এই পৃথিবীতে একটা সময়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পিতা-মাতা ও পরিবার।তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পিতা-মাতার অবসর গ্রহণ করে উপদেষ্টাই উপনীত হয়। তখন শিক্ষাদানের দায়ভার বর্তায় বর্তমান স্কুল কলেজের শিক্ষকদের ওপর।
সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী: পরিবার থেকে অক্ষরজ্ঞান অর্জন করে এসে পরিচিত হয় আপনাদের সাথে। সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে একত্রিত হই যখন ,তখন আমরা তেমন কিছুই বোঝে না। আপনাদের উদার মনের কোথায় কি স’যতনেইনেই না ঠাঁয় দেন আমাদের ।মনে হয় না আমরা আমাদের পরিবার থেকে পৃথক হয়েছি। বাড়ন্ত চারা গাছটা আপনারা কত না যতনে বৃহৎ ভিক্ষে গরে তোলেন।
আদর্শ বিদ্যাপীঠ: স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা অর্জন করা সুযোগ দানে আমরা প্রলোকিত। আপনাদের সোহার্দ্যপূর্ন আচরণ আমাদের মুগ্ধ করেছে সব সময়।শেখানোর আপ্রাণ চেষ্টা আমাদেরকে করেছে অনপ্রাণিত।
প্রিয় শিক্ষার্থী: রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও কিছু সম্পর্ক যে মধুর হয়ে ওঠে, বন্ধুত্ব হচ্ছে তার চেষ্ঠ উদাহরণ।বন্ধু শব্দটার সাথে পরিচিত হই আমরা এই শিক্ষাঙ্গনে এসে। আমার মনে হয় বন্ধুত্ব শব্দটার মাঝে পৃথিবীর সবথেকে কম স্বার্থ থাকে।
প্রিয় বিদায়: অনেক কথা বলার ছলে, আসল কথা হয়নি বলা। আজ থেকে যে হবে না আর আপনাদের সাথে পথ চলা। কিশোর বয়স থেকে শুরু করে। দীর্ঘ কয়েক বছর আপনাদের সাথে কাটিয়েছি, কেটে গেছে অনেকদিন। বুঝিনি কখনো ছেড়ে যাবেন আমাদের। আজ সময়ের সাথে সাথে বদলে গেছে জীবনের গতিপথ নতুন পথের যাত্রী আপনারা।
স্মৃতির পাতায় চোখ পড়ছে বারবার ।ধুলা বালির নিচে পড়া কত না ঘটনা আজ চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে।পুরাতন খতিয়ান কে যেন খুলে মেলে ধরেছে চোখের সামনে। পুরাতন সেই খতিয়ানের প্রথম পাতায় চোখ পড়তেই মনে পড়ল আপনাদের। সেইসব সম্মানিত বড় ভাই-বোনদের যাদের হাত ধরে আমাদের বেড়ে ওঠা। অসংখ্য ভালবাসায় আগলে রেখেছিলেন আপনারা।
আপনাদের মত মানুষের সাথে মিশতে পাড়াও ভাগ্যের ব্যাপার।আমাদের মত কমবোঝা মানুষদেরকে আপন করে টেনে নিয়েছিলেন বুকে।দেখিয়ে দিয়েছেন আধার থেকে আলোর পথে আসার গিরিপথ। আপনারা পাশে না থাকলে হয়তো দেখা হতো না সভ্যতার এই পৃথিবী। চলার পথে আমরা না বুঝে অবুঝের মত অনেক সময় বাগবক্ততাই তাই জড়িয়ে পড়েছি হয়তো।
আমরা না বোঝা মানুষগুলো আজ আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। চাহিয়া ক্ষমা বাড়িয়ে দিলাম, আমার দুটি হাত। মুখে আজ নেই কথা, নয়ন শুধুই অশ্রুপাত।যেতে যখন হবেই, বাধা দেওয়ার কিছুই নেই তখন। যেখানেই থাকবেন ভালো থাকবেন। শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করবেন। আমাদের নিকটে পথপ্রদর্শক হিসেবে আলোকবর্তিকায় ন্যায় মশাল জ্বালিয়ে রাখবেন।
সর্বোপরি দেশ ও দশের ব্যক্তি পরিবারের সেবাই আত্মা নিয়োগ করবেন। সকলের সু সাফল্য, মঙ্গল, ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।সকলের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সালাম আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
তো বন্ধুরা এটাই ছেলে বড় ভাইদের উদ্দেশ্যে একটি বক্তব্য আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগেছে। এ বক্তব্য যদি বড় মনে হয় তাহলে ছোট করে লিখে নিবেন আরেকটি বক্তব্য নিয়ে উপস্থাপনা করছি