যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণায় দেখা গেছে, শীতে মারা যাওয়া ৫০ শতাংশ লোকের বয়স ষাটের ওপরে এবং তাঁদের ৭৫ শতাংশ পুরুষ। সাধারণত ষাটোর্ধ্ব এবং এক বছরের কম বয়সের শিশুদের শীতে মারা যাওয়ার হার সবচেয়ে বেশি।
উত্তর গোলার্ধের তুলনায় দক্ষিণ গোলার্ধে তুষারপাতের প্রবণতা কম। তবে দক্ষিণ গোলার্ধের পর্বতময় এলাকা যেমন—আন্দিজ, অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ, দক্ষিণ আমেরিকার পাতাগোনিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পর্বতাঞ্চলে মাঝেমধ্যে তুষারপাত হয়।
কুয়াশা তখনই দেখা যায়, যখন কোনো স্থানের আর্দ্রতা প্রায় ১০০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছায়।
সাধারণত নদী কিংবা জলাশয়ের দিকে কুয়াশা বেশি দেখা যায়, কারণ পানি বাতাসের আর্দ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ক্যালিফোর্নিয়ার পয়েন্ট রিয়েস বিশ্বের অন্যতম কুয়াশাচ্ছন্ন এলাকা। স্থানটি বছরের প্রায় ২০০ দিন কুয়াশায় ঢাকা থাকে।
১৮১৬ সালকে বলা হয় গ্রীষ্মবিহীন বছর। উত্তর-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রে এবং কানাডার ম্যারি টাইমস, নিউ ফাউন্ডল্যান্ড এবং উত্তর ইউরোপে বছরজুড়ে ব্যাপক শৈত্যপ্রবাহে অঞ্চলগুলোর জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে।
১৬০০ থেকে ১৯০০ শতাব্দীতে প্রতিবছর টেমস নদীর পানি জমে বরফ হয়ে গেলে তার ওপর মেলার আয়োজন রেওয়াজে পরিণত হয়। ১৬০৮ সালে রাজা অষ্টম হেনরি প্রথম বরফের মেলার আয়োজন করেন। ১৬৮৪ সালে তীব্র শীতে নদীতে জমে যাওয়া পানি প্রায় দুই মাস পর্যন্ত বরফ অবস্থায় ছিল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ০৯, ২০১০
Leave a Reply