হালদা নদীতে মাছে ডিম ছেড়েছে।
হালদা নদীতে রুই ডিম পেড়েছে।
ঢাক বাজে রে তাই ড্যাডাং ড্যাডাং রবে,
জেলে পল্লীতে তো আজ উত্সব হবে।
ঢ্যাম কুড়কুড় ঢ্যাম কুড়কুড় ঢোল বাজে সঙ্গে
ড্যাডাং ড্যাডাং ড্যানাক ড্যানাক নানা রঙ্গে।
মাছের মায়ের বড় ক্ষুধা
সামনে পেয়ে যা-ই গেলে তা-ই সুধা
নিজের পোনারে গিলতে তার নাই কোনো দ্বিধা
মাছের মায়ের যে দরদ নাই, কথা বড় সিধা।
মা-মাছের চলাফেলা এখন বড় ধীরে
পোনারা সব থাকে তাই মাকে ঘিরে।
মায়ের আগেপিছে
মায়ের পিছে পিছে
পোনারা সারি বেঁধে সিজিল মিছিল করে
সারাক্ষণ ভয়ে থাকে, মাকে ভয়-ভয় করে।
জেলেরা কী এমন মাতনে মেতেছে?
সদ্যঘটা নির্বাচনে যেন তারাই জিতেছে।
গুড়! গুড়! আট রকম গুড়—
আখের গুড়, খেজুরে গুড়—
চিটে গুড়, ঝোলা গুড়
তাল গুড়, মাত গুড়
ভেলি গুড়, নলেন গুড়।
আট গুড়ের লাড়ু-নাড়ু
অবশ্যই থাকবে শুঁটের লাড়ু।
আর থাকবে পিপড়ের ডিম-ছাড়ানো প্রাণহরা
বোলতার ডিমের মনোহরা
মাছের মায়ের মন কীসে যে বসে
বোঝা বড় দায়
মাছের মা কীসে যে খুশি
বোঝা নাহি যায়।
তাই ময়রার গাদ, বাসি জিলিপি
আর বাংলা মদের তলানি
চটকে বানাতে হবে ভুরভুুরে চাট।
দোষ না করেও জেলেরা মানবে তাদের ঘাট।
ভক্তিভরে করজোড়ে
দাঁড়িয়ে থাকবে তারা হালদার তীরে।
ঢ্যাম কুড়কুড় ঢ্যাম কুড়কুড় ঢোল বাজে সঙ্গে
ড্যাডাং ড্যাডাং, ড্যানাক ড্যানাক নানা রঙ্গে।
জেলেরা কী এমন মাতনে মেতেছে?
সদ্যঘটা নির্বাচনে যেন তারাই জিতেছে।
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৯
সূত্র: প্রথম আলো, জানুয়ারী ১৮, ২০০৯
Bijith
Valo