বধিরের ভাষা

আমাদের সমস্যা নির্মাণ ধ্বংসের দিকে
আমাদের সমস্ত প্রেম মৃত্যুর দিকে

আমাদের জীবনের উজ্জীবনে, যতবার
মাধূর্য-বাসর গড়েছি, দেখেছি
রাজন্য অত্যাচারে
ভেঙে গেছে শ্রমের সংসার।

আমাদের ভাষা আছে বধিরের
আমাদের চোখ আছে অন্ধের
আমাদের পৌরুষ বৃদ্ধ যযাতির।


আমাদের জীবনের উজ্জীবনে আশা নেই ভাষা নেই, তাই
জীবনে-মরনে ব্রতী
ইতিহাসে-উল্লাসে, নাকি
এক জীবনেই নানা জীবনের জীবন যাপনে
অসুস্থ প্রবাসী?

আমাদের কালের অসুখে
নানা জীবনের দ্বন্দ্ব
প্রহরে-প্রহরে, নাকি
অসুস্থ মারী ও মড়কে, অন্ধ?

আমাদের কালের সভ্যতা, ইতিহাসে
চতুর্দিকে, ঘরে ঘরে সন্দেহ, ভয়
কী ভাবে বাঁচি মরি; কোথায়!


মৃত্যুর দেশে মর্তের অধিবাসী যারা
জীবনের স্কেড়নাট্যে রচেছিল সংহতি
মানবিক-বোধে নাগরিক তারা
বাসুকীর সাথে বন্ধুতা সম্প্রতি?


আমাদের জীবনের কাল যুদ্ধে
মহামারী আর মন্বন্তর, জানি
জীবনে জীবন বেঁধে, জীবনের বিরুদ্ধে
রচি জীবনেরই গ্লানি।

–বিহঙ্গ তাই এনেছে সন্ধ্যা দুরন্ত ঘুর্ণিতে
বন্ধ পাখায় অন্ধ আঁধার নেমেছে কালের চুর্ণিতে।


আমাদের ভাষা আজ বধিরের
আমাদের চোখ আজ অন্ধের
আমাদের পৌরুষ বৃদ্ধ যযাতির

আমাদের চলা শুধু খঞ্জের
আমাদের গান শুধু মৃত্যুর,
আমাদের নির্মান ধ্বংসের।


যেদিকে তাকাই শুধু অন্ধ, পঙ্গুর সমাহার—
যেদিকে তাকাই দেখি, কালো-ছায়া আবিশ্ব পাষানে
যেদিকে ফেরাই কান, শুনি
পদধ্বনি; কার পদধ্বনি?

১/১০/৮৩

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *